প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আইনি সহায়তার বাতিঘর হবে রাজশাহী লিগ্যাইল এইড অফিস
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আইনি সহায়তার বাতিঘর হবে রাজশাহী লিগ্যাইল এইড অফিস। সেইসাথে সেবাগ্রহীতারা এখানে আইনি সেবা নিতে এলে তাদের ২০০ টাকা করে ভাতার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। বুধবার (২৯ মে) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কথা জানান তিনি। এদিন সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ও দলিত জনগোষ্ঠীর আইনি সহায়তা সহজলভ্য করতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১৮ জন বিজ্ঞ বিচারকসহ ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী ও দলিত শ্রেনীর প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহন করেন। ডাসকো ফাউন্ডেশনের আয়োজন ও হেকস্ ইপারের সার্বিক সহযোগিতায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহীর বরেন্দ্র এলাকাসহ সমতলের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর লোকেদের আইনি সহায়তার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিমল রাজোয়ার ও আশরাফুল হক তোতা। প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তারা আদিবাসীদের ভূমি অধিকার, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে সেবা পেতে বিভিন্ন জটিলতা, সমতলে ৮০টির বেশি ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় বসবাসের কথা তুলে আনেন। প্রবন্ধে দাবি করা হয় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ মোতাবেক ৫০টি সম্প্রদায়ের নাম উল্ল্যেখ হলেও এখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্টির সম্প্রদায় বেশি থাকায় বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পরে এ নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে সমঅধিকার ও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ চরম বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকারের কথা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার মতো মৌলিক সেবাসমূহ পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা অস্পৃশ্য। একই সাথে ভূমির ব্যবহার এবং সামাজিন বিভিন্ন হয়রানিতে আইনি সহায়তা না পাবার কথা তুলে ধরেন। এসব সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞ বিচারকগণ বিভিন্নভাবে সহায়তার উপায় এবং সহযোগীতার প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি প্রান্তিক এসব মানুষের অভিযোগের অনেক বিষয় রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ভাবেও সমাধানে উদ্যোগের কথা উল্ল্যেখ করেন। এছাড়াও উত্থাপিত বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বক্তব্য রাখান উপস্থিত বিচারকবৃন্দ। পাশাপাশি বিজ্ঞ বিচারকগণ আইনের অধিনে থেকেই তাদের যাবতিয় সহায়তার জন্য সকলের দ্বার উন্মুক্তের কথা বলেন।